ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা : শীত, গরম এবং বিশেষত বৃষ্টির মৌসুমে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো অনেকের মাঝেই প্রকোপ আকারে দেখা যায়। কিন্তু ডেঙ্গুর আসল কারণ কি, এধরণের রোগ থেকে কিভাবে প্রতিকার পাওয়া যায় এবং প্রতিরোধ করার উপায় কি সেসকল বিষয়ে বিস্তারিত জানাব আজকের এপিসোডে। তো চলুন, জানা যাক –
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা
ডেঙ্গু জ্বরের কারণ
ডেঙ্গু জ্বর হচ্ছে মশাবাহিত একটি ভাইরাস ঘাটিত জ্বর । সাধারণত জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেশি থাকে। মূলত এডিস মশাকেই এর জন্য দায়ী করা হয়ে থাকে।
ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী এডিস মশা অন্ধকারে কামড়ায় না। সাধারণত সকাল এবং সন্ধ্যার কিছু আগে এডিশ মশা তৎপর হয়ে ওঠে। বাসা-বাড়ির আশপাশে টব, টায়ার, কৌটা, ডাবের খোল ইত্যাদিতে জমে থাকা পানিতে এডিস মশা বংশ বিস্তার করে। এজন্য সবসময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন, কোথাও কোনো পানি জমে না থাকে ।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ
১) সাধারণভাবে ডেঙ্গুর লক্ষণ হচ্ছে জ্বর । ডেঙ্গু জ্বর হলে রোগীর শারীরের তাপমাত্রা সাধারণত ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০২ ডিগ্রি হয়ে থাকে । জ্বর সাধারণত দু’রকমের হয়ঃ একটানা জ্বর থাকতে পারে । আবার শরীর ঘেমে জ্বর ছেড়ে দিয়ে আবার জ্বর আসতে পারে ।
২) শরীর ব্যথাঃ ডেঙ্গু জ্বর হলে শরীর প্রচণ্ড ব্যথা হয় । নড়াচড়া করতে গেলে শরীরে ব্যথা অনুভূত হয় ।
৩। চোখের পেছনের দিকে ব্যথাঃ চোখের ভেতরে, পেছনের দিকটাতে ব্যথা অনুভূত হতে পারে ।
৪। রেশঃ চামড়ায় লালচে দাগ বা রেশ হতে পারে ।
৫। বমি বমি ভাবঃ ডেঙ্গু জ্বর হলে বমি বমি ভাব হতে পারে ।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হবার ৪/৫ দিন পর থেকেই এই লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে শুরু করে ।
তবে সতর্কভাবে জেনে রাখতে হবে যে, কখনো কখনো এসব লক্ষণ না দেখা গেলেও কারো ডেঙ্গু হতে পারে ।
এসময় জ্বর দেখা দিলেই সাথেসাথে ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হতে হবে ।
সুন্দর ত্বকের যত্নে ৭টি ঘরোয়া টিপস
ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয়
ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসায় এখনো পর্যন্ত বিশেষ কোনো ওষুধ বা প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি । তবে প্রথমত, জ্বর হলেই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে । প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে দেখতে হবে এটা ডেঙ্গু জ্বর কিনা । যদি ডেঙ্গু জ্বর নিশ্চিত হয় তাহলে –
১। হতাশ বা অস্থির হওয়া যাবে না ।
২। পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিতে হবে ।
৩। প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার(যেমন- ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের জুস, খাবার স্যালাইন ইত্যাদি) খেতে হবে ।
৪। পেঁপে পাতার রস খাওয়া যেতে পারে, তবে এটি খেলে ডেঙ্গু জ্বর সেরে যাবে এমনটি নয় । পেঁপে পাতার রসে প্রচুর প্রোটিন আছে । আবার এটি রক্তের প্লাটিলেট তৈরিতে সাহায্য করে ।
৫। জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে, তবে কোনোভাবেই অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ খাওয়া যাবে না । তবে সকল ওষুধই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা উচিত ।
পড়তে পারেনঃ ক্রিকেট মাঠের মাপ, পিচের সঠিক দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কত? জানুন
প্রাথমিকভাবে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ হিসেবে উল্লেখিত বিষয়গুলোকেই ধারণা করা হয়ে থাকে। তবে এধরণের এডিস বাহিত রোগ থেকে মুক্তি বা প্রতিকার পেতে, ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে – নিয়মিত আপনার বাড়ির আশ-পাশে পরিষ্কার রাখুন এবং ময়লা পানি জমতে দিবেন না। ধন্যবাদ।।