সুন্দর ত্বকের যত্নে ৭টি ঘরোয়া টিপস
সুন্দর ত্বকের যত্নে ৭টি ঘরোয়া টিপস : দাঁগমুক্ত, উজ্জ্বল ও কমনীয় ত্বক সবারই ভালো লাগে । তাই আমরা সবাইই দাঁগমুক্ত উজ্জ্বল ত্বকের স্বপ্ন দেখি। কিন্তু প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা, ক্ষতিকর প্রসাধনী ও ত্বকের যত্ন সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে আমাদের অজান্তেই ত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
সুন্দর ত্বকের যত্নে ৭টি ঘরোয়া টিপস
তাছাড়া ত্বকের নিবিড় যত্ন নেবার জন্য আমরা সাধারণত পর্যাপ্ত সময় ব্যয় করিনা। অথচ সহজ ও সাধারণ কিছু টিপস ফলো করে আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে ত্বকের যত্ন নিতে পারেন । ত্বকের যত্ন আপনাকে অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়া এবং ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। মাত্র ৭টি টিপস ফলো করে আপনি সুন্দর কমনীয় ত্বক পেতে পারেন। আসুন আমরা ত্বকের যত্নে ঘরোয়া টিপস গুলো জেনে নিই-
ত্বকের যত্নে ৭টি সহজ টিপস্
১। সূর্য থেকে নিজেকে রক্ষা করুনঃ আপনার ত্বকের যত্ন নেয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায়গুলির মধ্যে একটি হলো, ত্বককে সরাসরি সূর্যালোক থেকে রক্ষা করা। সারাজীবন সূর্যের প্রখর আলো ত্বকে বলিরেখা, বয়সের দাঁগ এবং ত্বকের অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। সেই সাথে ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ায়।
- ক) সূর্যের আলো থেকে সুরক্ষার জন্য আপনি
- খ) সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন : প্রয়োজনে রোদে বের হতে হলে আপনি ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করে বের হন।
- গ) ছায়াময় স্থানে অবস্থান : সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে সূর্যকে এড়িয়ে চলুন।
- ঘ) সূর্যের আলো যেন সরাসরি ত্বকে না লাগে সেজন্য পরতিরক্ষামূলক পোশাক পরুন ।
২। ধূমপান বর্জন করুনঃ ধূমপান আপনার ত্বককে বয়স্ক দেখায় এবং বলিরেখা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। ধূমপান ত্বকের বাইরের স্তরের ক্ষুদ্রতম রক্তনালীগুলিকে সংকুচিত করে, যা রক্তের প্রবাহ সংকুচিত করে এবং ত্বককে ফ্যাকাশে করে তোলে। এটি ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অক্সিজেন এবং পুষ্টির ক্ষয়ও করে।
ধূমপান কোলাজেন এবং ইলাস্টিনকেও ক্ষতিগ্রস্থ করে- যে ফাইবারগুলো আপনার ত্বককে শক্তি ও স্থিতিস্থাপকতা দেয়। এছাড়াও ধূমপান আপনার স্কোয়ামাস সেল ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
৩। ত্বকের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাঃ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ত্বকের সুরক্ষার জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘক্ষণ গোসল করা পরিহার করতে হবে। হালকা উষ্ণ পানিতে গোসল করা উত্তম। তবে কিছুতেই অতিরিক্ত গরম পানিতে গোসল করা যাবে না ।
অতিরিক্ত খারজাতীয় সাবান ও ডিটারজেন্ট ত্বক থেকে প্রয়োজনীয় তেল বের করে দিতে পারে। এতে ত্বক খসখসে হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
গোসল বা হাত মুখ ধোবার পরে জোরে ঘষে শরীর মুছবেন না। আলতো করে মুছুন, ত্বক সামান্য আদ্র থাকলে সমস্যা নেই্ । বরং প্রতিদিন অন্তত দু বার ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে ফেলুন।
উত্তর আমেরিকা মহাদেশের দেশসমূহের নাম, রাজধানী, মুদ্রা
৪। স্বাস্থ্যকর খাবারঃ স্বাস্থ্যকর খাবার ত্বকের জন্য অপরিহার্য। ত্বক সুন্দর রাখার জন্য প্রচুর ফলমূল, শাকসবজি, বিচিযুক্ত শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিনজাতীয় খাবার খেতে হবে।
ব্রন এবং খাবারের মধ্যে সম্পর্ক স্পষ্ট নয়। তবে কিছু গবেষণা থেকে পাওয়া যায় যে, মাছের তেল, অস্বাস্থ্যকর চর্বি , প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেট ব্রনের কারণ হতে পারে। প্রচুর পানি পান করা ত্বকের জন্য উপকারী। প্রতিদিন কমপক্ষে আট গ্লাস পানি পান করুন।
৫। অতিরিক্ত চাপ কমানোঃ অতিরিক্ত মানসিক ও শারীরিক চাপ আপনার ত্বককে সংবেদনশীল ও ব্রনের উৎপত্তির কারণ হতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম, বিশ্রাম নিন । মানসিক চাপ তৈরি হয় এমন কার্যক্রম কমিয়ে আনুন ।
৬। অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার থেকে বিরত থাকুনঃ অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে ত্বকের ছিদ্র আটকে যায়। ফলে ব্রন হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৭। মুখ স্পর্শ করা হতে বিরত থাকুনঃ বিনা কারণে বারবার মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। বারবার মুখে হাত দিলে ব্যাকটেরিয়া, ফ্লু বা অন্যন্য ভাইরাসের সংক্রমন হতে পারে।
ঢাকা বিভাগের জেলা ও উপজেলা সমূহ
উল্লেখিত ত্বকের যত্নে ঘরোয়া টিপস গুলো মেনে চললে আশা করি আপনি আপনার কাঙ্খিত ত্বক পেয়ে যাবেন। আমাদের ত্বকের যত্ন টিপস গুলো আপনার ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না ।