ইসলামে জীবের প্রতি দয়া
ইসলামে জীবের প্রতি দয়া : জীবের প্রতি দয়া সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গী কী ? আসনু আমরা জেনে নিই জীবের প্রতি দয়া সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গী কেমন, জীবের প্রতি দয়া করার ফজিলত কী , ইসলামে জীবপ্রেম সম্পর্কে কী বলে, সকল প্রাণীদের প্রতি দয়া সম্পর্কে কী বলে ।

ইসলামে জীবের প্রতি দয়া
হযরত আবু হুরায়রা(রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, একজন লোক রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে তার ভীষণ পিপাসা লাগলো । সে একটি কূপে নেমে পানি পান করলো । এরপর সে বের হয়ে দেখতে পেল যে, একটা কুকুর হাঁপাচ্ছে এবং পিপাসায় কাতর হয়ে মাটি চাটছে । সে ভাবলো, কুকুরটারও আমার মতো পিপাসা লেগেছে । সে পূনরায় কূপের মধ্যে নামলো এবং নিজের চামড়ার মোজায় ভরে পানি ভরে মুখ দিয়ে সেটা ধরে উপরে উঠে এসে কুকুরটিকে পানি পান করাল । আল্লাহ্ পাক তার আমল কবুল করলেন এবং তার পেছনের জীবনের কৃত গোনাহ্ ক্ষমা করে দিলেন । সাহাবীগণ(রা.) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.), চতুষ্পদ জন্তুর উপকার করলেও কি আমাদের সওয়াব হবে ? তিনি বললেন,“ প্রত্যেক প্রাণীর উপকার করাতেই সওয়াব রয়েছে।”
ব্রণ কী ? ব্রণ কেন হয় ? ব্রণ থেকে বাঁচার উপায়
– সহীহ বুখারী । চতুর্থ খন্ড, হাদিস নং-২২০৭ ।
হযরত আসমা বিনতে আবু বকর(রা.) থেকে বর্ণিত যে, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূর্যগ্রহণের সালাত আদায় করলেন । তারপর বললেন, জাহান্নাম আমার নিকটবর্তী করা হলে আমি বললাম, হে প্রভু ! আমিও কি এই জাহান্নামের অধিবাসীদের সাথী হবো ? এমন সময় একজন মহিলা আমার নজরে পড়লো । বর্ণনাকারী বলেন, আমার ধারণা, তিনি বলেছেন বিড়াল সেই মহিলাটিকে খামচাচ্ছিল। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এ মহিলার কী হলো ? ফেরেশতারা উত্তর দিলেন, সে একটি বিড়ালকে (খাবার না দিয়েই) বেঁধে রেখেছিল, যার কারণে বিড়ালটি ক্ষুধায় মারা যায় ।
– সহীহ বুখারী । চতুর্থ খন্ড, হাদিস নং-২২০৮ ।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, একজন মহিলাকে একটি বিড়ালের কারণে শাস্তি দেওয়া হয় । সে বিড়ালটি বেঁধে রেখেছিল । অবশেষে বিড়ালটি ক্ষুধায় মারা যায় । এ কারণে মহিলা জাহান্নামে প্রবেশ করলো । বর্ণনাকারী বলেন, তিনি (মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আল্লাহ ভালো জানেন, বাঁধা থাকাকালীন তুমি তাকে না খেতে দিয়েছিলে, না পান করতে দিয়েছিলে এবং না তুমি তাকে ছেড়ে দিয়েছিলে, তা হলে সে যমীনের পোকা-মাকড় খেয়ে বেঁচে থাকত।”
– সহীহ বুখারী । চতুর্থ খন্ড, হাদিস নং-২২০৯ ।
আরও জানতে পারেন এখানে



