আসন্ন ভোট উপলক্ষে নির্বাচন নিয়ে উক্তি (Nirbachan Niye Ukti), ইলেকশন নিয়ে লেখা এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে স্ট্যাটাস ও স্লোগান সংকলন পর্বে আপনাকে শুভেচ্ছা। আশা করি আপনার মূল্যবান ভোটটা দিবেন দয়া করে যোগ্য প্রার্থীকে।
নির্বাচন নিয়ে উক্তি
আমাদের বাংলার এই গণতন্ত্র শুধুমাত্র একটি নির্বাচনী সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি আমাদের রাষ্ট্রীয় জীবনের একটি অংশ। তাই আসুন আমরা সকলে যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করি।
নির্বাচনে ভোট দেওয়া কোন সাধারণ বিষয় নয়। কারণ আপনার এই ভোটের উপর নির্ভর করে দেশের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই এক একটি ভোটকে অমূল্য সম্পদ হিসেবে ভেবে, সর্বদা উপযুক্ত যোগ্য প্রার্থীকে বাছাই করবেন।
“নির্বাচন আমাদের শুধু অধিকারই নয়, নাগরিকত্বের দায়িত্বের কথাও মনে করিয়ে দেয়।” – রবার্ট কেনেডি
“নির্বাচন আসছে। সার্বজনীন শান্তি ঘোষণা করা হয়েছে, এবং শেয়ালের হাঁস-মুরগির জীবন দীর্ঘায়িত করার আন্তরিক আগ্রহ রয়েছে।” – জর্জ এলিয়ট
“গণতন্ত্রে, এটি কেবল ভোট দেওয়ার বিষয়ে নয়; এটি জানানোর বিষয়ে।” – বিল মোয়ার্স
“ভোট দেওয়া আমরা সবচেয়ে বেশি করতে পারি না, তবে এটি সবচেয়ে কম।” – গ্লোরিয়া স্টেইনেম
“নির্বাচন ভবিষ্যৎ নিয়ে। এবং পরিবর্তন।” – বিল রাসেল
“গণতন্ত্র শুধু ভোট গণনা নয়, এটি কর্মের গণনা।” – ফ্রেডরিক ডগলাস
“গণতন্ত্রে, এটা আপনার ভোট যে গণনা করা হয়. সামন্তবাদে, এটা আপনার ভোট গণনা.” – মোজেনস জালবার্গ
“ভোট একটি নাগরিক ধর্মানুষ্ঠান।” – থিওডোর হেসবার্গ
“গণতন্ত্রে ভোট দেওয়া মৌলিক।” – মো রোকা
“এই প্রজাতন্ত্রের ভবিষ্যত আমেরিকান ভোটারের হাতে।” – ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার
“ভোট দেওয়া প্রতিটি নাগরিকের সবচেয়ে মূল্যবান অধিকার, এবং আমাদের ভোটদান প্রক্রিয়ার অখণ্ডতা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।” – হিলারি ক্লিনটন
“ভোট একটি নাগরিক ধর্মানুষ্ঠান।” – থিওডোর হেসবার্গ
“গণতন্ত্রে, এটা আপনার ভোট যে গণনা করা হয়. সামন্তবাদে, এটা আপনার ভোট গণনা.” – মোজেনস জালবার্গ
“গণতন্ত্রে ভোট দেওয়া মৌলিক।” – মো রোকা
“এই প্রজাতন্ত্রের ভবিষ্যত আমেরিকান ভোটারের হাতে।” – ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার
“ভোট দেওয়া প্রতিটি নাগরিকের সবচেয়ে মূল্যবান অধিকার, এবং আমাদের ভোটদান প্রক্রিয়ার অখণ্ডতা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।” – হিলারি ক্লিনটন
নির্বাচন হলো সিদ্ধান্ত গ্রহণের একটি আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে জনগণ প্রশাসনিক কাজের জন্য একজন জনপ্রতিনিধিকে নির্বাচিত করে।
নির্বাচন বা ভোট নিয়ে আমাদের জনগণের মধ্যেই পক্ষ বা বিপক্ষ নিয়ে নানান মত রয়েছে, আর সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন অংশজুড়ে শোভা পাচ্ছে সেগুলো।
ভোট নিয়ে লেখা
আমরা সব সময় আশা করি, আসন্ন নির্বাচনে যেন প্রকৃত ও সর্বাধিক যোগ্য প্রার্থীর জয় হয়।কিন্তু আজকালকার পরিস্থিতি অনুযায়ী দুর্ভাগ্যজনক হল সেটার কখনোই হয়ে ওঠে না।
মানুষ আর কখনোই এতটা মিথ্যা কথা বলে না, যতবার তারা মিথ্যা বলে যুদ্ধের সময় বা নির্বাচনের সময়।
রাজনীতি হচ্ছে খুব ভদ্রভাবে ও নম্রতার ব্যবহার দিয়ে গরিবদের থেকে ভোট আদায় করা। এবং ধর্মীয় বিত্তশালীদের কাছ থেকে নির্বাচনের জন্য চাঁদা আদায় করার প্রক্রিয়া। এবং এখানে উভয়পক্ষকে ভরসা দেওয়া হয় যে তাদেরকে বিরোধী পক্ষ থেকে রক্ষা করা হবে।
যাকে বাস্তবিক অর্থে ভালো মনে হয়, অর্থাৎ সবচেয়ে ভালো ব্যক্তিকে ভোট দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। বরং তাকেই ভোট দিবেন, যার দ্বারা আপনার এবং জনগণের কম ক্ষতিসাধন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
রাজনীতিবিদরা পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় একই রকম ও প্রভাবের হয়ে থাকে। অর্থাৎ তারা আপনাকে বিশাল সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকবে, অথচ যেখানে কোন নদীর অস্তিত্বই নেই।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে স্ট্যাটাস
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে, আমি শুধুই মাত্র জনগণের সেবক এবং সেবা করার জন্যই ভোট প্রার্থী। আমি নিজেকে যোগ্য বলে দাবি করি না! তবে আমার যোগ্যতার পরীক্ষা জনগণের কাছে তুলে ধরলাম। প্রিয় জনগণ! যদি আপনি এবং আপনারা মনে করেন যে আমি আপনাদের ভোট পাবার যোগ্য এবং এই উপজেলার ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল জনগণের সেবা করার যোগ্য; তাহলেই কেবল আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। নতুবা যাকে আপনাদের যোগ্য প্রার্থী বলে মনে হবে তাকেই ভোট দেবেন।
জনগণ ও গণতন্ত্রের অধিকার আদায়ের জন্য যোগ্য প্রার্থী হিসেবে ভোট চাওয়া কোন লজ্জার কিছু নয়। বরং নিজে সৎ হলে, আপনারা আমাকে এমনিতেই ভোট দেবেন, আমি এটা বিশ্বাস করি। তাই আপনাদের কাছে আমার আকুল আবেদন: আমাকে কিংবা যাকেই ভোট দিবেন না কেন; যোগ্য ব্যক্তিকেই জয়যুক্ত করবেন।
ইউপি নির্বাচন নিয়ে স্ট্যাটাস
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের যে জিতুক বা হারুক, আমি চাই আসন্ন নির্বাচন যাতে সুস্থভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
রাজনীতি কখনোই ক্ষমতা গায়েব করার জন্য হবে না। বরং রাজনীতি হতে হবে একমাত্র জনগণের সেবা করার জন্য।
একজন নেতা যদি সৎ হয়, তাহলে তার অনুসারীরা অসৎ হওয়ার সাহস কোনোভাবেই পায় না।
নির্বাচনে তারাই প্রার্থী হন, যারা খুব সহজেই বিনিময়ে যোগ্য বা বিক্রি হয়ে যায়।
হারি কিংবা জিতি, নির্বাচনের পর পরই আমরা যোগ্য প্রার্থীর বিজয়ী উল্লাসে অংশগ্রহণ করব।
রাজনীতিতে সুদিন এবং দুর্দিন, খুব দ্রুতই বদলে যেতে পারে।
ইউপি নির্বাচন নিয়ে উক্তি
ইউপি নির্বাচন লাখো মানুষের আশা-আকাঙ্খা ও স্বপ্নের প্রতিফলন।
ইউপি নির্বাচন একটি যুদ্ধক্ষেত্র যেখানে ধারণার সংঘাত এবং ভাগ্য গঠন করা হয়।
ইউপি নির্বাচন শুধুমাত্র ক্ষমতার জন্য নয়; এটি একটি বিশাল জনগণের আশা নিয়ে।
উত্তর প্রদেশের নির্বাচনে, প্রতিটি ভোট একটি কণ্ঠস্বর যা সারা দেশে প্রতিধ্বনিত হয়।
ইউপি নির্বাচন ভারতীয় গণতন্ত্রের বৈচিত্র্য এবং জটিলতার একটি প্রমাণ।
ইউপি নির্বাচন কর্মক্ষেত্রে গণতন্ত্রের একটি দর্শন, যেখানে জনগণের ইচ্ছা সর্বোচ্চ রাজত্ব করে।
রাজনীতিতে দুর্ঘটনার ফলে কিছুই হয় না। যদি এটি কখনো ঘটে থাকে, আপনাকে চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি এটি পরিকল্পনা ছিল।
মেম্বার নির্বাচন নিয়ে স্ট্যাটাস
”যারা গরিবের ৫ কেজি আটা, ও ১০ কেজি চাউলের লোভ সামলাতে পারেনা! তাদের উচিত রাজনীতি ছেড়ে ভিক্ষা করা।” – জননেত্রী শেখ হাসিনা
একটি সুস্থ রাজনীতির জন্য প্রয়োজন একটি শালীন সমাজ এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ গ্রাম। এজন্য প্রতিটি ওয়ার্ডের মেম্বার এবং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহোদয়কে হতে হবে: আদর্শবান, সৎ, সুশীল, উদার এবং সহনশীল।
নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে উক্তি
একজন সত্যিকারের নেতা কখনো অন্যের লাইফস্টাইল কে ফলো করেনা; বরং সে নিজেই একজন স্মার্ট রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে। আর সেরকম আদর্শবান নেতাকেই সর্বদা ভোট দেওয়া উচিত।
রাজনীতিতে ভালো মানুষের অভাব সব সময় থাকে। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভালো মানুষেরা রাজনীতিতে আসতে পছন্দ করেনা।
ক্ষুধার্ত পেট কখনোই ভালো রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হতে পারে না।
নিরপক্ষ রাজনীতিতে শেষ বলতে কিছুই নেই। নানান জটিলতা ও সমস্যার সৃষ্টি হবে, আর নিরপেক্ষভাবে তার সমাধান করতে করতেই নির্বাচনী পিরিয়ড ফুরিয়ে যাবে।
রাজনীতিতে মধ্যস্ততা বলতে কিছুই নেই। যদি কখনো কেউ মধ্যস্থতায় জড়াতে চায়, মনে রাখতে হবে মধ্যস্থকারী পক্ষেরও সেখানে নির্দিষ্ট কিছু স্বার্থ থাকে।
”ক্ষমতাবান হয়ে ক্ষমতাহীন মানুষকে কষ্ট দেওয়া তো আমার আদর্শের পরিপন্থ।” -নেলসন ম্যান্ডেলা
নির্বাচন নিয়ে ইসলামিক উক্তি
রাজনীতি থেকে দুর্নীতি দূর করা গেলে, খুব সহজেই দেশের সর্বত্র উন্নয়ন করা সম্ভব।
যে রাজনীতিবিদ দুনিয়াবি স্বার্থ হাসিলের জন্য, অর্থাৎ অর্থ-সম্পদ, টাকা পয়সা এবং স্বচ্ছলতা বৃদ্ধির জন্য রাজনীতি করে – নিজেকে তো ধনী করতে পারে ঠিকই। কিন্তু দেশকে দরিদ্রতায় ফেলে দেয় এবং দেশের জনগণ গরিব হয়ে যায়।
নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে, শান্তি এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাকারী ব্যক্তিকে বেছে নেওয়া উচিত।
“নেতৃত্ব একটি বিশ্বাস, এবং যারা এটি চায় তাদের অবশ্যই আন্তরিকতা এবং সততার সাথে তা করতে হবে।” হাফিজুর রহমান
“নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রত্যেক মুসলমানের জন্য একটি কর্তব্য, কারণ এটি সুশাসন নিশ্চিত করার একটি উপায়।”
“যে সবচেয়ে বেশি প্রতিশ্রুতি দেয় তাকে নয়, বরং যার চরিত্রে ন্যায়পরায়ণতা প্রতিফলিত হয় তাকে ভোট দিন।”
“গণতন্ত্র আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি উপহার, এবং এটিকে বুদ্ধিমানের সাথে ব্যবহার করার দায়িত্ব প্রতিটি বিশ্বাসীর উপর বর্তায়।”
“তাদের নির্বাচন করুন যারা ন্যায়বিচার, সহানুভূতি এবং করুণার মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখে, কারণ তারা আল্লাহর পছন্দের গুণাবলী।”
“নেতৃত্ব ক্ষমতার বিষয় নয়, বরং জনগণের সেবা করার জন্য, যেমনটি আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) উদাহরণ দিয়েছিলেন।”
“প্রজ্ঞা এবং নম্রতার সাথে শাসন করে এমন নেতাদের বেছে নিন, কারণ তারাই দেশের জন্য আশীর্বাদ নিয়ে আসবে।”
“মনে রাখবেন, বিচারের দিন, আপনাকে আপনার সম্প্রদায়ের জন্য ধার্মিক নেতা নির্বাচন করার ক্ষেত্রে আপনার ভূমিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।”
পড়তে পারেন: গরম নিয়ে ক্যাপশন (Gorom Niye Caption) কারেন্ট নিয়ে স্ট্যাটাস।
পরিশেষে,
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে উক্তি (Nirbachon Niye Ukti), উপজেলা নির্বাচন নিয়ে স্ট্যাটাস (Upozilla Nirbachon Niye Status) গুলো থেকে আমাদের শিক্ষনীয় কিছু উদ্ধৃতি ও বানী রয়েছে। অর্থাৎ নেতৃত্ব প্রদান ও নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই যোগ্য, সৎ ও ন্যায়বিচারককে বেছে নিবেন। তাহলেই জনগনের শান্তি, উন্নতি ও দেশের উন্নয়ন সম্ভব হবে। ইনশাআল্লাহ।।
