খেলাধুলাসমসাময়িক

ফুটবল মাঠের মাপ । খেলার নিয়ম ও ফুটবল খেলার কলাকৌশল

ফুটবল মাঠের মাপ । খেলার নিয়ম ও ফুটবল খেলার কলাকৌশল : আজকের এই পোস্টটি পড়ার পর আশা করি ফুটবল সম্পর্কে আপনার অজানা কিছুই থাকবে না। প্রথমেই আমরা ফুটবল খেলার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জেনে নিই –

ফুটবল খেলার সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ

বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে ফুটবল খেলা । বিশ্বে এমন কোনো দেশ নেই যেখানে ফুটবল খেলা হয় না। ফুটবলের উৎপত্তির ইতিহাস নিয়ে তর্ক-বিতর্ক যতই থাকুক না কেন আধুনিক ফুটবলের রূপকার ইংল্যান্ড। ১৮৪৮ সালে সর্বপ্রথম ফুটবল খেলার নিয়মাবলী লিপিবদ্ধ হয়। ইংরেজরা তাদের উপনিবেশের সাথে সাথে বিশ্বে ফুটবলও ছড়িয়ে দেয়। ১৯০৪ সালে ফুটবলের আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিফা গঠিত হয়। ১৯০০ সালে প্যারিস অলিম্পিক গেমসে ফুটবল খেলা স্থান পায়। ১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল শুরু হয়।

ফুটবল মাঠের মাপ । খেলার নিয়ম ও ফুটবল খেলার কলাকৌশল

১। ফুটবল মাঠের মাপ

ফুটবল মাঠের মাপ ও ফুটবল মাঠের বিভিন্ন অংশের নাম

Screenshot 16
ফুটবল মাঠের মাপ

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফুটবল মাঠের দৈর্ঘ্য সর্বনিম্ন ১১০ গজ বা ১০০ মিটার  থেকে সর্বোচ্চ ১২০ গজ বা ১০৪ মিটার এবং প্রস্থ সর্বনিম্ন ৭০ গজ বা ৬৪ মিটার থেকে সর্বোচ্চ ৮০ গজ বা ৬৮.০৫ মিটার।

২। বলঃ

ফুটবলের আকৃতি হবে গোলাকার। চামড়া অথবা অন্য কোনো উপযুক্ত চামড়া জাতীয় পদার্থ দ্বারা তৈরি হবে । বলের পরিধি ৭০ সে.মি. (২৮ ইঞ্চি) এর বেশি এবং ৬৮ সে.মি. (২৭ ইঞ্চি) এর কম হবে না। খেলা আরম্ভ হবার সময় বলেও ওজন হবে ৪১০ থেকে ৪৫০ গ্রামের মধ্যে ।

৩। খেলোয়াড়ঃ

প্রতি দল ১৬ জন খেলোয়াড়ের সমন্বয়ে গঠিত হবে ।১১ জন খেলোয়াড় একসাথে মাঠে খেলবে। এই ১১ জনের মধ্যে একজন হবে গোলরক্ষক। উভয় দল পারস্পরিক সম্মতিক্রমে সর্বাধিক ৫ জন খেলোয়ার বদল করতে পারবে ।

৪। রেফারি :

নিয়োগপ্রাপ্ত একজন রেফারির দ্বারা প্রত্যেকটি খেলা পরিচালিত হয়ে থাকে । খেলার সাথে সম্পর্কিত আইনের বিধানবালী প্রয়োগের ক্ষেত্রে তিনিই হচ্ছেন একমাত্র অধিকারসম্পন্ন ব্যক্তি। এছাড়াও খেলায় দুইজন সহকারী রেফারি থাকেন যারা আইন অনুযায়ী রেফারিকে খেলা পরিচালনায় সহযোগিতা করেন। মাঠের বাইরে চতুর্থ একজন রেফারি থাকেন। এছাড়াও দুই গোল লাইনে দুইজন জজ থাকেন। তারা গোল হওয়া না হওয়া সম্পর্কে রেফারিকে জানান ।

৫।খেলার স্থিতিকালঃ

প্রতি অর্ধে ৪৫ মিনিট করে দুটি অর্ধে মোট ৯০ মিনিট খেলা হবে। দুই অর্ধের মাঝে বিরতি অবশ্যই ৫ মিনিটের কম এবং ১৫ মিনিটের বেশি হবে না।

৬।  খেলা আরম্ভ এবং পুনরারম্ভ :

টসের মাধ্যমে খেলা আরম্ভ হবে। যে দল টসে জিতবে সে দল কোন গোলে আক্রমণ করবে অর্থাৎ কোন দিকে দাঁড়াবে তা পছন্দ করবে। অপর পক্ষ কিক-অফ দিয়ে খেলা আরম্ভ করবে। উভয় দলই খেলার দ্বিতীয়ার্ধে প্রান্ত বদল করবে। খেলা আরম্ভ বা পুনরারম্ভের সময় উভয় দল নিজ নিজ অর্থে অবস্থান করে। রেফারির সংকেতের সাথে সাথে সেন্টার সার্কেলের মধ্যে থেকে কিক-অফের মাধ্যমে খেলা আরম্ভ হয়।

৭।  বল খেলার মধ্যে ও বাইরে

বলের সম্পূর্ণ অংশ শূন্য দিয়ে অথবা মাটি গড়িয়ে টাচ্ লাইন অথবা গোল লাইন সম্পূর্ণরূপে অতিক্রম করলে বল খেলার বাইরে বলে ধরা হয়। অন্যদিকে বল দাগের উপরে থাকলে অথবা গোলপোস্ট, ক্রসবার, কর্নার ফ্লাগপোস্ট, রেফারি ও ডেপুটি রেফারির গায়ে লেগে মাঠের মধ্যে ফিরে আসলে বল খেলার মধ্যে গণ্য হবে।

বলের সম্পূর্ণ অংশ শূন্য দিয়ে অথবা মাটি গড়িয়ে টাচ্ লাইন অথবা গোল লাইন সম্পূর্ণরূপে অতিক্রম করলে বল খেলার বাইরে বলে ধরা হয়। অন্যদিকে বল দাগের উপরে থাকলে অথবা গোলপোস্ট, ক্রসবার, কর্নার ফ্লাগপোস্ট, রেফারি ও ডেপুটি রেফারির গায়ে লেগে মাঠের মধ্যে ফিরে আসলে বল খেলার মধ্যে গণ্য হবে।

মহাসাগর কয়টি ও কি কি ? মহাসাগরের সকল তথ্য

৮।  গোল হওয়ার পদ্ধতি

যখন দুই গোলপোস্টের মধ্যে এবং ক্রসবারের নিচে দিয়ে বল শূন্য অথবা মাটি গড়িয়ে গোল লাইন সম্পূর্ণরূপে অতিক্রম করে যায় তখন একটি গোল হয়েছে বলে ধরা হয়। তবে শর্ত থাকে, যে পক্ষ গোল করেছে গোল হওয়ার পূর্বে তাদের দ্বারা খেলার আইন যদি ভংগ না হয়ে থাকে। খেলার সময় যে দল বেশি গোল করবে সে দল জয়ী হবে। উভয় দলের সমান সংখ্যক গোল হলে এই খেলাকে ‘ড্র’ খেলা বলে ধরা হবে। ‘ড্র’ বা অমিমাংসিত খেলার ফলাফল নির্ধারণের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট ‘অতিরিক্ত সময়’ এর পরও অমিমাংসিত থাকলে টাইব্রেকারের মাধ্যমে বিজয়ী দল নির্ধারণ করা হয়।

ফুটবল খেলার নিয়ম
গোল হবার নিয়ম

৯।  অফসাইড

বল ছাড়া কোন খেলোয়াড় যখন বিপক্ষের অর্ধে অবস্থান করে এবং তার সামনে বিপক্ষের কমপক্ষে ২ জন খেলোয়াড়

না থাকে সে অবস্থায় যদি সে নিজ দলের খেলোয়াড়ের কাছ থেকে বল পায় তাহলে অফসাইড হবে। অফসাইড হলে রক্ষণশীল দলের খেলোয়াড় যেখানে অফসাইড হয়েছে সেখান থেকে ইনডাইরেক্ট ফ্রি-কিক গ্রহণ করবে। থ্রো-ইন, গোল কিক, কর্নার কিক থেকে সরাসরি বল পেলে অফসাইড হবে না ।

ফুটবল খেলার নিয়ম
অফসাইড এর দৃশ্য

১০।  ফাউল এবং অসদাচরণ

ফাউল বা অসদাচরণ হলে দুই ধরনের ফ্রি কিক দেওয়া হয়।

ক. ডাইরেক্ট ফ্রি-কিক

খ. ইনডাইরেক্ট ফ্রি-কিক।

ক. ডাইরেক্ট ফ্রি-কিক

নিচের ১০টি অপরাধের জন্য প্রত্যক্ষ বা ডাইরেক্ট ফ্রি-কিক দেওয়া হয়-

১. বিপক্ষ খেলোয়াড়কে লাথি মারা বা লাথি মারার চেষ্টা করা;

২. বিপক্ষ খেলোয়াড়কে ল্যাং মেরে ফেলে দেওয়া বা ল্যাং মারার চেষ্টা করা; ৩. বিপক্ষ খেলোয়াড়ের উপর লাফিয়ে পড়া;

৪. বিপক্ষ খেলোয়াড়কে চার্জ বা আক্রমণ করা;

৫. বিপক্ষ খেলোয়াড়কে আঘাত করা বা আঘাত করার চেষ্টা করা;

৬. বিপক্ষ খেলোয়াড়কে ধাক্কা দেওয়া;

৭. বল খেলার পূর্বে বিপক্ষ খেলোয়াড়ের সাথে সংঘর্ষ করা;

৮. বিপক্ষ খেলোয়াড়কে আটকানো বা ধরে রাখা;

৯. বিপক্ষ খেলোয়াড়কে থুতু দেওয়া

১০. ইচ্ছাকৃতভাবে হাত দিয়ে বল ধরা (স্বীয় পেনাল্টি এরিয়ায় গোলরক্ষকের জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়)। অপরাধের স্থান থেকে বিপক্ষ দল একটি ডাইরেক্ট ফ্রি-কিক পাবে।

খ.ইনডাইরেক্ট ফ্রি-কিক

নিম্নের অপরাধগুলোর জন্য পরোক্ষ বা ইনডাইরেক্ট ফ্রি-কিক দেওয়া হয়-

১. বিপজ্জনকভাবে খেলা;

২. বল না খেলে বিপক্ষ খেলোয়াড়ের সম্মুখগতিতে বাধা দেয়া;

৩. গোলরক্ষক বল ছুড়ে দেয়ার সময় তাকে বাধা দেওয়া;

৪. নিজ দলের কোন খেলোয়াড়ের ইচ্ছাকৃত কিক করা বল যদি গোলরক্ষক হাত দিয়ে টাচ্ করে বা ধরে;

৫. গোলরক্ষক বল ছেড়ে দেওয়ার পর অন্য খেলোয়াড় টাচ্ করার পূর্বেই যদি সে পুনরায় বলটি ধরে;

৬. গোলরক্ষক যদি স্বীয় গোল এরিয়ার মধ্যে বিপক্ষ খেলোয়াড়কে বাধা না দিয়ে থাকে, এ অবস্থায় গোলরক্ষককে আক্রমণ করলে;

৭. নিজ দলের কোন খেলোয়াড় কর্তৃক থ্রো-ইন করা বল যদি গোলরক্ষক হাত দিয়ে টাচ্ করে বা ধরে;

৮. গোলরক্ষক বল নিয়ন্ত্রণের পর খেলার মাঠে পাঠানোর আগে যদি ৬ সেকেন্ডের বেশি সময় বল ধরে রাখে;

অপরাধের স্থান থেকে বিপক্ষ দল একটি ইনডাইরেক্ট ফ্রি-কিক পাবে।

১১।  ফ্রি-কিক

ফ্রি-কিক দুই ধরনের হয়ে থাকে। ডাইরেক্ট ও ইনডাইরেক্ট ফ্রি-কিক। উভয় কিক নেওয়ার সময় বল অবশ্যই স্থির থাকবে এবং অন্য কোন খেলোয়াড়ের টাচ্ না হওয়া পর্যন্ত কিকার দ্বিতীয়বার বল খেলতে পারবে না। ডাইরেক্ট ফ্রিকিক থেকে সরাসরি গোল হয় কিন্তু ইনডাইরেক্ট ফ্রি-কিক থেকে সরাসরি গোল হয় না ।

হযরত সালমান ফারসির ইসলাম গ্রহণ এর কাহিনী

১২।  পেনাল্টি কিক

যে ১০টি অপরাধের কারণে ডাইরেক্ট ফ্রি-কিক দেওয়া হয়, গেণ ১০টি অপরাধের যে কোন একটি অপরাধ যদি কোন খেলোয়াড়ের দ্বারা তার নিজস্ব পেনাল্টি এরিয়ার ভিতরে বল খেলার মধ্যে থাকাকালীন সময়ে সংঘটিত হয় তাহলে রেফারি উক্ত দলের বিরুদ্ধে একটি পেনাল্টি কিকের নির্দেশ দিবেন (গোল কিপারের জন্য ১০ নং আইনটি প্রযোজ্য নয়)।

১৩।  থ্রো-ইন

কোন খেলোয়াড়ের সর্বশেষ স্পর্শে বলটি শূন্য দিয়ে অথবা মাটি গড়িয়ে টাচ্ লাইন সম্পূর্ণরূপে অতিক্রম করলে বিপক্ষ দল ঐ স্থান থেকে বল নিক্ষেপের মাধ্যমে খেলা শুরু করে। ঐ নিক্ষেপকে থ্রো-ইন বলে। থ্রো-ইনও খেলা পুনরারম্ভের একটি পদ্ধতি। থ্রো-ইন থেকে সরাসরি গোল হয় না।

ফুটবল খেলার নিয়ম
থ্রো ইন

১৪।  গোল কিক

দুই গোলপোস্ট বাদে যখন আক্রমণকারী দলের কোন খেলোয়াড়ের সর্বশেষ স্পর্শে বলটি শূন্য দিয়ে অথবা মাটি গড়িয়ে গোল লাইন সম্পূর্ণরূপে অতিক্রম করে তখন যে কিকের মাধ্যমে খেলা শুরু হয় তাকে গোল কিক বলে। এটিও খেলা পুনরারম্ভের একটি পদ্ধতি। গোল কিক থেকে কেবলমাত্র বিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে সরাসরি গোল হয়।

১৫।  কর্ণার কিক

দুই গোলপোস্ট বাদে যখন রক্ষণকারী দলের কোন খেলোয়াড়ের সর্বশেষ স্পর্শে বলটি শূন্য দিয়ে অথবা মাটি গড়িয়ে গোল লাইন সম্পূর্ণরূপে অতিক্রম করে তখন যে কিকের মাধ্যমে খেলা শুরু হয় তাকে কর্নার কিক বলে। নিকটবর্তী

কর্নার ফ্লাগপোস্টের বৃত্তাংশের মধ্যে বল বসিয়ে কর্নার কিক নিতে হয়। এটিও খেলা পুনরারম্ভের একটি পদ্ধতি। কর্নার কিক থেকে সরাসরি গোল হয় ।

ফুটবল খেলার কলাকৌশল

১। কিক করা

ক) লো ড্রাইভ কিক

জোরে নিচু দিয়ে কোন বল অল্প দূরত্বে সোজাসুজি পাঠাতে হলে বলেরদিকে সোজা দৌড়ে আসতে হবে। পায়ের পাতার উপরের অংশ দিয়ে বলের মাঝখানে সজোরে আঘাত করতে হবে। যে পা দিয়ে কিক করবে সে পায়ের হাঁটু এবং কোমর বলের উপর ঝুঁকে থাকবে। অন্য পা বলের পাশে ১৮ থেকে ২০ সে.মি. দূরে প্রায় সোজাসুজি অবস্থান করবে।

খ) হাই ড্রাইভ কিক

বল উঁচু দিয়ে দূরে পাঠাতে হলে সোজা না এসে কোনাকুনি দৌড়ে আসতে হবে এবং বলের মধ্যভাগের একটু নিচে আঘাত করতে হবে। পায়ের পাতার অগ্রভাগ সম্পূর্ণ নিম্নমুখী থাকবে না, কিছুটা বাঁকাভাবে থাকবে ।

গ) ফুল ভলি কিক

উপর দিয়ে বল দূরে পাঠাবার জন্য বল মাটিতে পড়ার পূর্বেই বা মাটিতে পড়ার পর বেশ একটু উপরে উঠলে যে কিক করা হয় তাকে ফুল ভলি কিক বলে।

ঘ) হাফ ভলি কিক

বল মাটিতে পড়ে ওঠার সাথে সাথে সজোরে যে কিক করা হয় তাকে হাফ ভলি কিক বলে। হাফ ভলি কিক শক্তিশালী হয় ।

ফুটবল খেলার কলাকৌশল
হাফ ভলি কিক

২। বল ট্রাপিং

শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ দিয়ে বিভিন্ন কায়দায় বল ট্র্যাপিং করা যায়।

ক) সোল ট্রাপিং (পায়ের পাতার তলদেশ থেকে বল থামানো) : পায়ের পাতার সামনের অংশ উপর দিক করে এবং গোড়ালি মাটি থেকে ৮ থেকে ১০ সে.মি. উপরে তুলে, অনেকটা ইংরেজি অক্ষর ‘ভি’ এর মত করে বল থামানোকে সোল ট্রাপিং বলে ।

খ) থাই ট্রাপিং:

মোটামুটি লম্বাভাবে আসা বলের গতি ঊরু উপরে তুলে থামাতে হবে এবং বল উরু স্পর্শ করার সাথে সাথে নিচের দিকে নামিয়ে আনতে হবে ।

গ) শিন ট্রাপিং (হাঁটুর নিচের অংশ দিয়ে বল থামানো):

মাটিতে পড়া বল বাউন্স করে উপরে ওঠার সাথে সাথে হাঁটুর নিচের অংশ ভাঁজ করে ইংরেজি অক্ষর ‘ভি’ এর মত করে (পায়ের পাতা পিছনের দিক নিয়ে) বল থামাতে হবে ।

ঘ) চেস্ট ট্রাপিং: তেরছাভাবে আসা বলের গতি বুকের যে কোন এক পার্শ্ব দিয়ে থামাতে হবে। বল বুক স্পর্শ করার সময় শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ রাখতে হবে।

ঙ) হেড ট্র্যাপিং:

লম্বা বা তির্যকভাবে আসা বল আস্তে করে মাথায় লাগিয়ে বলের গতি কমাতে হবে । বল মাথা স্পর্শ করার সাথে সাথে মাথা একটু পিছন দিকে নিতে হবে। এসময় ঘাড় নরম থাকবে।

৩. হেড করা

বল হেড করার সময় নিচের বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে-

ক) দৃষ্টি বলের দিকে থাকবে (চোখ কখনও বন্ধ থাকবে না)

খ) মাথার সম্মুখ অংশে অর্থাৎ কপাল ও চুলের সন্ধিস্থলে বল লাগাবে অর্থাৎ হেড করার

জন্য এ জায়গা ব্যবহার করতে হবে

গ) ঘাড় শক্ত রেখে বলে আঘাত করতে হবে

ঘ) মাথা ঘুরিয়ে বলের দিক পরিবর্তন করতে হবে বল ও প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের অবস্থান অনুযায়ী দাঁড়িয়ে বা লাফ দিয়ে হেড করতে হবে।

৪. গোল কিপিং

গোলরক্ষক হিসেবে যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে-

ক) সব সময় বল কোথায় আছে তার দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে

খ) নিচু বল ধরার জন্য শরীর ঠিক বলের পেছনে রাখবে এবং হাঁটু সোজা রেখে সামনে ঝুঁকে দু’হাত দিয়ে বল ধরে বুকের কাছে নিয়ে আসবে

গ) উঁচু বল ধরার জন্য দু’হাত সম্মুখে বা উপরে বাড়িয়ে দু’হাতের তালুর সাহায্যে বল ধরে নিয়ে বুকের কাছে আনবে

ঘ) অনেক উঁচু বল মুষ্টিবদ্ধ হাত দিয়ে ঘুষি মেরে দূরে সরিয়ে দিবে

৫) একটু দূরে শূন্যের বল ডাইভ দিয়ে ধরবে।

ফুটবল মাঠের মাপ । খেলার নিয়ম ও ফুটবল খেলার কলাকৌশল ও ফুটবল মাঠের বিভিন্ন অংশের নাম – পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগলেই আমাদের শ্রম স্বার্থক হবে । ফুটবল খেলার আরও নিয়ম জানতে পারেন উইকিপিডিয়াতেও । পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।

Samim Ahmed

Hey! I'm Samim Ahmed (Admin of ShikhiBD). I love to write and read on the topic of current affairs. Since my childhood; I have been an expert in writing feature posts for various magazines.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *