লেখাপড়া

বৃত্ত কাকে বলে ? বৃত্তের বৈশিষ্ট্য ও বিভিন্ন অংশের পরিচয়।

বৃত্ত কাকে বলে ? বৃত্তের বৈশিষ্ট ও বিভিন্ন অংশের পরিচয় : মানবজীবনে বৃত্তের ব্যবহার অপরিসীম। চাকা আবিষ্কার থেকে শুরু করে গগনচুম্বী অট্টালিকা তৈরিতে , জ্যামিতিক আকৃতি তৈরিসহ নানান ক্ষেত্রে বৃত্তের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার রয়েছে। আজকের পোস্টে আমরা বৃত্ত ও বৃত্তের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি বিষয় জানবো ।

বৃত্ত কাকে বলে
বৃত্ত কাকে বলে

বৃত্ত কাকে বলে ? বৃত্তের বৈশিষ্ট ও বিভিন্ন অংশের পরিচয়।

বৃত্ত কাকে বলে

একটি নির্দিষ্ট বিন্দুকে কেন্দ্র করে সমান দূরত্ব বজায় রেখে যে বক্ররেখা ঘুরে আসে, তাকে বৃত্ত বলে । বৃত্তের কেন্দ্রের কোণের পরিমাণ ৩৬০ ডিগ্রী।

ব্যাসার্ধ কাকে বলে

বৃত্তের কেন্দ্র হতে পরিধির দূরত্বে ব্যাসার্ধ বলে ।

বৃত্তচাপ কাকে বলে

বৃত্তের পরিধির যেকোনো একটি নির্দিষ্ট অংশকে বৃত্তচাপ বলে ।

সৌদি আরবের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখে নিন

জ্যা কাকে বলে ?

একটি বৃত্তচাপের শেষ প্রান্তবিন্দু দুইটির সংযোজককে বৃত্তের জ্যা বলে ।

ব্যাস কাকে বলে

বৃত্তের কেন্দ্রগামী জ্যা কে বৃত্তের ব্যাস বলে । ব্যাস হলো বৃত্তের সবচেয়ে বড় জ্যা ।

বিখ্যাত মণীষীদের বাছাই করা সেরা কিছু উক্তি জেনে রাখুন।

বৃত্তের পরিধি কাকে বলে

বৃত্তের কেন্দ্রের চারপাশের বক্ররেখার সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্যকে বৃত্তের পরিধি বলা হয়।

বৃত্ত সম্পর্কিত পোস্টটি সম্পর্কে আপনাদের মূল্যবান মতামত কমেন্টবক্সে জানাতে পারেন । আরও সব গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পড়তে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট থেকে । ধন্যবাদ ।

Nokia 150 Price in Bangladesh 2025 : Full Specifications

স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নানান টিপস্ পেতে স্বাস্থ্য পেইজ থেকে ঘুরে আসুন ।

আয়না

জসীম উদ্‌দীন

এক চাষি ক্ষেতে ধান কাটিতে-কাটিতে একখানা আয়না কুড়াইয়া পাইল। তখন এদেশে আয়নার চলন হয় নাই। কাহারও বাড়িতে একখানা আয়না কেহ দেখে নাই। এক কাবুলিওয়ালার ঝুলি হইতে কী করিয়া আয়নাখানা মাঠের মাঝে পড়িয়া গিয়াছিল। আয়নাখানা পাইয়া চাষি হাতে লইল। হঠাৎ তাহার উপরে নজর দিতেই দেখে, আয়নার ভিতর মানুষ! আহা হা, এযে তাহার বাপজানের চেহারা!

বহুদিন তার বাপ মারা গিয়াছে। আজ বড় হইয়া চাষির নিজের চেহারাই তার বাপের মতো হইয়াছে। সব ছেলেই বড় হইয়া কতকটা বাপের মতো চেহারা পায়। তাই আয়নায় তাহার নিজের চেহারা দেখিয়াই চাষি ভাবিল, সে তাহার বাবাকে দেখিতেছে। তখন আয়নাখানাকে কপালে তুলিয়া সে সালাম করিল। মুখে লইয়া চুমো দিল। “আহা বাপজান! তুমি আসমান হইতে নামিয়া আসিয়া আমার ধানক্ষেতের মধ্যে লুকাইয়া আছ! বাজান বাজান! ও বাজান!”

চাষি এ ভাবে কথা কয় আর আয়নার দিকে চায়। আয়নার ভিতরে তাহার বাপজান কতই ভঙ্গি করিয়া চায়।

চাষি বলে, “বাজান! তুমি তো মরিয়া গেলে। তোমার ক্ষেত ভরিয়া আমি সোনাদিঘা ধান বুনিয়াছি, শাইল ধান বুনিয়াছি। দেখ-দেখ বাজান! কেমন তারা রোদে ঝলমল করিতেছে। তোমার মরার পর বাড়িতে মাত্র একখানা ঘর ছিল। আমি তিনখানা ঘর তৈরি করিয়াছি। বাজান! আমার সোনার বাজান! আমার মানিক বাজান!”

সেদিন চাষি আর কোনো কাজই করিল না। আয়নাখানা হাতে লইয়া তার সবগুলি ক্ষেতে ঘুরিয়া বেড়াইল। সাঁঝ হইলে বাড়ি আসিয়া আয়নাখানাকে কোথায় রাখে। সে গরিব মানুষ। তাহার বাড়িতে তো কোনো বাক্স নাই! সে পানির কলসির ভিতর আয়নাখানাকে লুকাইয়া রাখিল।

পরদিন চাষি এ কাজ করে, ও কাজ করে, দৌড়াইয়া বাড়ি আসে। এখানে যায়, সেখানে যায়, আর দৌড়াইয়া বাড়ি আসে। পানির কলসির ভিতর হইতে সেই আয়নাখানা বাহির করিয়া নাড়িয়া চাড়িয়া দেখে, আর কত রকমের কথা বলে! “বাজান! আমার বাজান! তোমাকে একলা রাখিয়া আমি এ-কাজে যাই ও-কাজে যাই, তুমি রাগ করিও না। দেখ বাজান! যদি আমি ভালোমতো কাজকাম না করি তবে আমরা খাইব কী?”

চাষির বউ ভাবে, “দেখরে। এতদিন আমার সোয়ামি আমার সাথে কত কথা বলিত, কত হাসি-তামাশা করিয়া এটা-ওটা চাহিত, কিন্তু আজ কয়দিন আমার সাথে একটাও কথা বলে না। পানির কলসি হইতে কী যেন বাহির করিয়া দেখে, আর আবোল-তাবোল বকে, ইহার কারণ কী?” সেদিন চাষি ক্ষেত-খামারের কাজে মাঠে গিয়াছে। চাষির বউ গোপনে গোপনে পানির কলসি হইতে সেই আয়নাখানা বাহির করিয়া তাহার দিকে চাহিয়া রাগে আগুন হইয়া উঠিল। আয়নার উপর তার নিজেরই ছায়া পড়িয়াছিল; কিন্তু সে তো কোনোদিন আয়নায় নিজের চেহারা দেখে নাই। সে মনে করিল, তার সোয়ামি আর একটি মেয়েকে বিবাহ করিয়া আনিয়া এই পানির কলসির ভিতর লুকাইয়া রাখিয়াছে। সেইজন্য আজ কয়দিন তার স্বামী তার সাথে কোনো কথা বলিতেছে না। যখনই অবসর পায় ওই মেয়েছেলের সাথে কথা বলে। “আসুক আগে মিনসে বাড়ি। আজ দেখাইব এর মজা!” একটি ঝাঁটা হাতে লইয়া বউ রাগে ফুলিতে লাগিল; আর যে-যে কড়া কথা সোয়ামিকে শুনাইবে, মনে-মনে আওড়াইয়া তাহাতে শান দিতে লাগিল । Read more…

কবি আল মাহমুদ এর অসাধারণ কবিতা সমগ্র থেকে বাছাই করা সেরা পাঁচটি কবিতা পড়তে পারেন এখানে

Samim Ahmed

Hey! I'm Samim Ahmed (Admin of ShikhiBD). I love to write and read on the topic of current affairs. Since my childhood; I have been an expert in writing feature posts for various magazines.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *