সমসাময়িকবাংলাদেশ

শহীদ মিনার-জাতীয় পতাকা ও স্মৃতিসৌধ অংকন পদ্ধতি

শহীদ মিনার-জাতীয় পতাকা ও স্মৃতিসৌধ অংকন পদ্ধতি : জাতীয় পতাকা, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এসবই আমাদের দেশের সম্পদ, আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের গৌরব । আজকের পোস্টে আমরা শহীদ মিনার, জাতীয় পতাকা ও স্মৃতিসৌধ অংকন পদ্ধতি জানবো ও শিখবো ।

শহীদ মিনার, জাতীয় পতাকা ও স্মৃতিসৌধ অংকন পদ্ধতি
শহীদ মিনার, জাতীয় পতাকা ও স্মৃতিসৌধ অংকন পদ্ধতি

শহীদ মিনার-জাতীয় পতাকা ও স্মৃতিসৌধ অংকন পদ্ধতি

জাতীয় পতাকা অঙ্কন পদ্ধতি

জাতীয় পতাকা অঙ্কন পদ্ধতি
জাতীয় পতাকা অঙ্কন পদ্ধতি

লাল সবুজে আঁকা পতাকা আমাদের গৌরবের প্রতীক। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি এই পতাকা । সবুজের মধ্যে লাল বৃত্ত উদীয়মান সূর্যের প্রতীক । বৃত্তের চারপাশে গাঢ় সবুজ চির তারুণ্যের প্রতীক।

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার নির্দিষ্ট একটি মাপ আছে। তা হলো দৈর্ঘ ও প্রস্থের অনুপাত ১০: ৬। অর্থাৎ দৈর্ঘ্য যদি ৩০৫ সেমি. (১০ ফুট) হয় তবে প্রস্থ ১৮০ সেমি. (৬ ফুট) হবে। লাল বৃত্তটি পতাকার দৈর্ঘ্যের ৫ ভাগের এক ভাগ। পতাকার দৈর্ঘ্যের ২০ ভাগের ৯ ভাগে একটি লম্ব টেনে পরে প্রস্থের ঠিক মাঝখানে দৈর্ঘ্যের সাথে সমান্তরাল করে একটি রেখা টানুন। এ রেখাটির ছেদ বিন্দুকে কেন্দ্র করে একটি বৃত্ত আঁকুন। বৃত্তটি আঁকার পর অপ্রয়োজনীয় দাগগুলো মুছে ফেলুন। পটুয়া কামরুল হাসান জাতীয় পতাকার নকশা অংকন করেন।

ব্যাডমিন্টন কোর্টের মাপ । ব্যাডমিন্টন খেলার নিয়ম বিস্তারিত

স্মৃতিসৌধ অংকন পদ্ধতি

স্মৃতিসৌধ অংকন পদ্ধতি
স্মৃতিসৌধ অংকন পদ্ধতি

লাখো শহীদের রক্তের বিনিময় আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম এ দেশ। শহীদ হয়েছে ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী, তরুণ-তরুণীসহ নাম না জানা অনেক লোক। তাদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নির্মিত হয়েছে স্মৃতিসৌধ। যার নক্শা অঙ্কন করেছেন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্থপতি সৈয়দ মইনুল হোসেন। তিনটি স্তরের উপর ভিত্তি করে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবি অঙ্কন করা হয়েছে।

অংকন পদ্ধতি: প্রথমে ১৪ ইঞ্চি লম্বা একটি ভূমি রেখা অঙ্কন করুন। ভূমি রেখার মাঝখানে সাড়ে ১০ ইঞ্চি মাপের একটি লম্ব টানুন। ভূমি রেখাকে ১ ইঞ্চি করে ভাগ করে ১৪ ভাগ এবং লম্ব রেখাকে সমান ৭ ভাগে ভাগ করুন। অতঃপর লম্ব রেখার উভয় পার্শ্বেই প্রথমে দাগের সাথে লম্ব রেখার উপরি ভাগ থেকে মিল করুন এবং অতিরিক্ত দাগগুলো মুছে ফেলুন।স্মৃতিসৌধের প্রকৃত মাপ ভূমি রেখা ১৮৪ ফিট এবং উচ্চতা ১৫৪ ফিট।

ভলিবল খেলার নিয়ম । ভলিবল কোর্টের মাপ । বিস্তারিত

শহীদ মিনার অংকন পদ্ধতি

শহীদ মিনার অংকন পদ্ধতি
শহীদ মিনার অংকন পদ্ধতি

ভাষা আন্দোলনের দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি যাঁরা শহীদ হয়েছিলেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও স্মৃতি রক্ষার্থে শহীদ মিনার তৈরি করা হয়। প্রখ্যাত শিল্পী হামিদুর রহমান শহীদ মিনারের নক্শা অঙ্কন করেন। সহজে অনুসরণীয় কোন বাঁধা ধরা পদ্ধতি বা নিয়ম নাই যা অনুসরণ করে শহীদ মিনার অঙ্কন করা যায়। যিনি আঁকবেন তাঁর আগ্রহ বা ইচ্ছা অনুযায়ী যে কোন ছক বা পদ্ধতি অবলম্বন করে তিনি আঁকতে পারেন।

তবে শহীদ মিনারের মাঝখানে তিনটি স্তম্ভ একটু বড় এবং সামনের দিকে একটু বাঁকা/ঝোঁকানো থাকবে। দু’পাশে দু’টি স্তম্ভ একটু ছোট হবে। মাঝের স্তম্ভকে মায়ের এবং ছোট স্তম্ভ দু’টি সন্তানের প্রতীক হিসেবে আমরা ব্যবহার করি। শহীদ মিনারের অন্যতম রূপকার নভেরা আহমেদ ।

জাতীয় পতাকা-স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনার এসবই আমাদের জাতীয় সম্পদ, আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক। আসুন আমরা দেশকে ভালোবাসি, দেশের উন্নয়নে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করি। উইকিপিডিয়া থেকেও জানতে পারেন। শহীদ মিনার, জাতীয় পতাকা ও স্মৃতিসৌধ অংকন পদ্ধতি – সংক্রান্ত পোস্টটি সম্পর্কে আপনাদের মূল্যবান মতামতম জানাবেন। ধন্যবাদ।

Samim Ahmed

Hey! I'm Samim Ahmed (Admin of ShikhiBD). I love to write and read on the topic of current affairs. Since my childhood; I have been an expert in writing feature posts for various magazines.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *