গ্রাম বাংলার ১০০+ প্রবাদ বাক্য
গ্রাম বাংলার ১০০+ প্রবাদ বাক্য : প্রবাদ বাক্য বাংলার এক ঐতিহ্যবাহী কথ্য সাহিত্য। সমাজে জীবন যাপন করতে যেয়ে মানুষ নানান অভিজ্ঞতা আর বাস্তবতার সম্মুখীন হয়। এসব অভিজ্ঞতা থেকে কিছু কথা , কিছু বাক্য ছন্দের আকারে বলার প্রচলন হয়। এসব ছন্দের স্থায়ী ধারাকেই প্রবাদ বাক্য বলে। মূলত এসব প্রবাদ বাক্য প্রতিষ্ঠা লাভ করে জ্ঞানীদের উক্তি থেকেই।
আজকের পোস্টে আমরা বাছাইকৃত ১০০+ প্রবাদ বাক্য তালিকা তৈরি করেছি। আসুন আমরা জ্ঞানীদের উক্তি থেকে প্রাপ্ত প্রবাদ বাক্য গুলো জেনে নিই ।
গ্রাম বাংলার ১০০+ প্রবাদ বাক্য
১। অকর্মা নাপিতের ধামাভরা ক্ষুর ।
২। বিনা মেঘে বজ্রপাত
৩। ধোঁয়া থাকলে আগুন আছে।
৪। অকালে খেয়েছ কচু, মনে রেখ কিছু।
৫। অকালে না নোয়া বাঁশ, পাকলে করে ট্যাঁশট্যাঁশ
৬। অঘটনে স্বজন চেনা যায় ।
৭। অচেনা বন্ধু থেকে চেনা শত্রু অনেক ভালো
৮। অতি আশ সর্বনাশ
৯। অতি ক্ষুধা যার, হাড় কাটা তার ।
১০। অতি চালাকের গলায় দড়ি
১১। অতি চেনার কদর নেই।
১২। অতি জ্বালে ব্যঞ্জন নষ্ট।
১৩। অতিদর্পে হতা লঙ্কা – অহংকার করলে পতন অনিবার্য
১৪। অতি পিরিত যেখানে, অতি বিচ্ছেদ সেখানে ।
১৫। অতি বড় ঘরণী না পায় ঘর
অতি বড় সুন্দরী না পায় বর ।
১৬। অতি বাড়া বেড় না ঝড়ে পড়ে যাবে
অতি ছোট থেকো না ছাগলে মুরে খাবে ।
১৭। অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ ।
১৮। অতি লোভে তাঁতী নষ্ট ।
১৯। অদৃষ্টের ফল, কে খণ্ডাবে বল ।
২০। অনুরোধে ঢেঁকি গেলা ।
২১। অনেক রাঁধুনীতে ব্যঞ্জন নষ্ট ।
২২। অন্ধের হস্তীদর্শন
২৩। অন্ন দেখে দেবে ঘি, পাত্র দেখে দেবে ঝি ।
ক্রিকেট মাঠের মাপ, পিচের সঠিক দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কত? জানুন
২৪। অন্ন নাই যার ঘরে, তার মানে কী বা করে ?
২৫। অভাগা চোর যে বাড়ী যায়
হয় কুকুর ডাকে নয় রাত পোহায়।
২৬। অভাবে স্বভাব নষ্ট
২৭। অর্থই অনর্থের মূল
২৮। অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী
২৯। অল্প শোকে কাতর, অধিক শোকে পাথর
৩০। অসৎ আনন্দের চেয়ে, পবিত্র বেদনা অনেক ভালো ।
৩১। সৎ সঙ্গে সর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ ।
৩২। অসময়ের দিনগুলি দীর্ঘতর হয়।
৩৩। অসময়ের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু ।
৩৪। অসি থেকে মসী বড়।
৩৫। অহংকার পতনের মূল ।
৩৬। আগে তিতা, পরে মিঠা ভালো।
৩৭। আগে দর্শনদারী, পরে গুণ বিচারী ।
৩৮। আগে ঘর পরে পর,
ঘর সামলে পরকে ধর।
৩৯। আগ্রার মানুষ তাজমহল দেখে না ।
৪০। আঙুল ফুলে কলা গাছ ।
৪১। আঙুর ফল টক ।
৪২। আদাজল খেয়ে লাগা ।
৪৩। আপনের চেয়ে পর ভালো, পরের চেয়ে জঙ্গল ভালো ।
৪৪। আপন নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করা ।
৪৫। আপন বুদ্ধিতে ছিল ভালো, পরের বুদ্ধিতে পাগল হলো ।
৪৬। আপন ভালো তো জগৎ ভালো ।
৪৭। আজ বুঝলি না বুঝবি কাল,
বুক চাপড়াবি, পাড়বি গাল।
৪৮। আপনা হাত জগন্নাথ,
পরের হাত এঁটো পাত ।
৪৯। আপনার কিছু নয়, জগৎ মায়াময়।
৫০। অকালে না নোয়ালে বাঁশ,
বাশঁ করে ঠাঁস ঠাঁস ।
৫১। আমি যার করি আশ,
সেই করে সর্বনাশ।
পদার্থ কি? পদার্থ কাকে বলে? পদার্থের বৈশিষ্ট্য। পদার্থ বিজ্ঞান । পদার্থ বিজ্ঞানের জনক কে?
৫২। উপকারী গাছের ছাল থাকে না ।
৫৩। ঊনো ভাতে দুনো বল, অতি ভাতে রসাতল ।
৫৪। এক মাঘে শীত যায় না ।
৫৫। কইয়ের তেলে কই ভাজা ।
৫৬। কথায় কথা বাড়ে, ভোজনে বাড়ে পেট ।
৫৭। কপাল যখন মন্দ হয়,
বন্ধুলোকেও মন্দ কয় ।
৫৮। কপালে তার নেইকো ঘি
ঠকঠকালে হবে কী ?
৫৯। কপালের লিখন, না যায় খণ্ডন।
৬০। কম্বলের লোম বাছলে থাকে কী ?
৬১। কয়লা যায় না ধুইলে,
স্বভাব যায় না মইলে ।
৬২। কাজের বেলায় কাজী
কাজ ফুরালে পাজি।
৬৩। কাজের মধ্যে দুই –
খাই আর শুই ।
৬৪। কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ ।
৬৫। ক্ষমার বড় গুণ নাই,
দানের বড় পূণ্য নাই।
৬৬। ক্ষুধার্ত পেটের কান নেই ।
৬৭। খেয়ে-দেয়ে যার বেয়ে পড়ে,
সে রমণী গয়না পরে।
৬৮। গরু মেরে জুতা দান ।
৬৯। গাঁয়ে মানে না, আপনি মোড়ল ।
৭০। গুরুর কথা শোনে না কানে,
প্রাণ যায় তার হেচকা টানে ।
৭১। চকচক করলেই সোনা হয় না ।
৭২। হাতি যখন গর্তে পড়ে,
চামচিকেতেও লাথি মারে ।
৭৩। চেনা বামুনের পৈতা লাগে না ।
৭৪। জল জল নদীর জল
বল বল বাহুর বল ।
৭৫। জলে না নামিলে শেখে না সাঁতার,
হাঁটিতে শেখে না, না খেলে আছাড় ।
৭৬। জামাইয়ের জন্য মারে হাঁস
বাড়িসুদ্ধু খায় মাস ।
৭৭। ঢাল নেই, তলোয়ার নেই
নিধিরাম সর্দার।
৭৮। তর্কে জেতা নয় বরং তর্কে না জড়ানোই বুদ্ধিমানের কাজ ।
৭৯। তেলামাথায় ঢালো তেল
রুক্ষ মাথায় ভাঙো বেল ।
৮০। দশের লাঠি, একের বোঝা ।
৮১। ধর্মের কল বাতাসে নড়ে ।
৮২। নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো ।
৮৩। নুন খাই যার , গুণ গাই তার ।
৮৪। পড়েছি মোগলের হাতে,
খানা খেতে হবে সাথে ।
৮৫। পরিষ্কার বিবেক বজ্রপাতেও শান্তিতে ঘুমায় ।
৮৬। বড় গাছের তলায় বাস,
ডাল ভঙলেই সর্বনাশ ।
৮৭। বড়র পীরিতি বালির বাঁধ
ক্ষণে হাতে দড়ি, ক্ষণে চাঁদ ।
৮৮। বিদ্যার চেয়ে বন্ধু নাই
ব্যাধির চেয়ে শত্রু নাই ।
৮৯। মাণিকে মাণিক চেনে
শুয়োরে চেনে কচু ।
৯০। মানুষ বাঁচে তার কর্মে, বয়সে নয় ।
৯১। যত গর্জে, তত বর্ষে না।
৯২। যদি কর তাড়াতাড়ি, ভুলের হবে বাড়াবাড়ি।
৯৩। সর্ব অঙ্গে ব্যথা, ঔষধ দেবো কোথা ।
৯৪। সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ ।
৯৫। সকালে শোয়, সকালে ওঠে
তার কড়ি বৈদ্য না লোটে ।
৯৬। শিয়াল এক ফাঁদে দুবার ধরা পড়ে না।
৯৭। শিকারী বিড়ালের গোফ দেখে চেনা যায়।
৯৮। সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা ।
৯৯। সত্যের বড় ধর্ম নাই,
মিথ্যার বড় পাপ নাই।
১০০। সবার বন্ধু কারো বন্ধুই নয় ।
১০১। সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না ।
১০২। সময়ে না দেয় চাষ
তার দুঃখ বারো মাস ।
১০৩। সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের দশ ফোঁড় ।
১০৪। সস্তার তিন অবস্থা ।
গ্রাম বাংলার ১০০+ প্রবাদ বাক্য : পোস্টটি সম্পর্কে আপনাদের মতামত কমেন্টবক্সে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।



