যতিচিহ্ন কাকে বলে ? যতিচিহ্ন কয়টি ও কী কী ?
![যতিচিহ্ন কাকে বলে ? যতিচিহ্ন কয়টি ও কী কী ?](https://shikhibd.com/wp-content/uploads/2024/10/বিরামচিহ্ন-কয়টি.png)
যতিচিহ্ন কাকে বলে ? যতিচিহ্ন কয়টি ও কী কী ? মুখের কথাকে লিখিত রূপ দেওয়ার সময়ে কম-বেশি থামা বোঝাতে যেসব চিহ্ন ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকে যতিচিহ্ন বলে। বক্তব্যকে স্পষ্ট করতেও কিছু চিহ্ন ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যতিচিহ্নকে বিরামচিহ্ন বা বিরতিচিহ্নও বলা হয়।
![বিরাম চিহ্ন কয়টি](https://shikhibd.com/wp-content/uploads/2024/10/বিরামচিহ্ন-কয়টি.png)
যতিচিহ্ন কাকে বলে ? যতিচিহ্ন কয়টি ও কী কী ?
বিরাম চিহ্ন কয়টি
বাংলা ভাষায় প্রচলিত যতিচিহ্নগুলো হলো: দাঁড়ি (।), কমা ( ,), সেমিকোলন ( ; ), প্রশ্নচিহ্ন ( ? ), বিস্ময় চিহ্ন ( ! ), হাইফেন (-), ড্যাশ (−), কোলন (:), বিন্দু (.), ত্রিবিন্দু (…), উদ্ধারচিহ্ন (‘-‘, ” -“), বন্ধনীচিহ্ন ((-)), ({-}), ([-]), বিকল্পচিহ্ন (/)।
১. দাঁড়ি (। )
দাঁড়ি সাধারণত বাক্যের সমাপ্তি নির্দেশ করে। যেমন –
প্রাপ্ত ফুটবল খেলা পছন্দ করে।
যথাযথ অনুসন্ধানের পর বলা যাবে কী ঘটেছিল।
২. কমা (,)
কমা সামান্য বিরতি নির্দেশ করে। শব্দ, বর্গ ও অধীন বাক্যকে আলাদা করতে কমার ব্যবহার হয়। যেমন –
গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত – বাংলাদেশ এই ছয়টি ঋতুর দেশ ।
নিবিড় অধ্যবসায়, কঠোর পরিশ্রম ও সময়নিষ্ঠ থাকলে সাফল্য আসবে।
সুজন, দেখ তো কে এসেছে।
কাল তুমি যাকে দেখেছ, তিনি আমার বাবা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, “পাপকে ঠেকাবার জন্যে কিছু না করাই তো পাপ।”
মহানবীর সিরিয়া সফর ও পাদ্রী বাহীরার কাহিনী
৩. সেমিকোলন (;)
স্বাধীন অথচ ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত একাধিক বাক্যকে এক বাক্যে পরিণত করার কাজে অথবা একই ধরনের বৰ্গকে পাশাপাশি সাজাতে সেমিকোলন ব্যবহৃত হয়। যেমন –
সোহাগ ক্রিকেট পছন্দ করে; আমি ফুটবল পছন্দ করি।
কোনো বইয়ের সমালোচনা করা সহজ; কিন্তু বই লেখা অত সহজ নয়।
তিনি পড়েছেন বিজ্ঞান; পেশা ব্যাংকার; আর নেশা সাহিত্যচর্চা।
৪. প্রশ্নচিহ্ন (?)
সাধারণত কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করার ক্ষেত্রে প্রশ্নচিহ্ন বসে। যেমন –
তারা কখন এসেছে?
বাংলাদেশের রাজধানীর নাম কী?
৫. বিস্ময়চিহ্ন (!)
সাধারণত বিস্ময়, দুঃখ, আনন্দ ইত্যাদি প্রকাশের জন্য বিস্ময়চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। যেমন –
মানে কী! সে আর চাকরি করবে না!
তার গানের কণ্ঠ দারুণ !
SAARC সার্কভূক্ত দেশগুলোর নাম রাজধানী মুদ্রা
৬. হাইফেন (-)
বাক্যের মধ্যকার একাধিক পদকে সংযুক্ত করতে হাইফেন ব্যবহৃত হয়। যেমন – মা-বাবার কাছে সন্তানের গৌরব সবচেয়ে বড়ো গৌরব।
জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকেই দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
৭. ড্যাশ (-)
সাধারণত দুটি বাক্যকে এক বাক্যে পরিণত করার কাজে এবং ব্যাখ্যাযোগ্য বাক্যাংশের আগে-পরে ড্যাশ ব্যবহৃত হয়। যেমন –
বাংলাদেশ দল জয়লাভ করেছে – বিজয়ের আনন্দে দেশের জনগণ উচ্ছ্বসিত।
ঐ লোকটি – যিনি গতকাল এসেছিলেন – তিনি আমার মামা।
৮. কোলন (:)
বাক্যের প্রথম অংশের কোনো উক্তিকে দ্বিতীয় অংশে ব্যাখ্যা করা এবং উদাহরণ উপস্থাপনের কাজে কোলন ব্যবহৃত হয়। যেমন-
ভাষার দুটি রূপ: কথ্য ও লেখ্য।
সভার সিদ্ধান্ত হলো: প্রতি মাসে সব সদস্যকে দশ টাকা করে চাঁদা দিতে হবে।
৯. উদ্ধারচিহ্ন (‘ – ‘), (” – ” )
কোনো কিছু উদ্ধৃত করার কাজে উদ্ধারচিহ্নের ব্যবহার হয়। উদ্ধারচিহ্ন দুই রকম: একক ও দ্বৈত। যেমন- ‘সিরাজউদ্দৌলা” একটি ঐতিহাসিক নাটক।
আমাদের কণ্ঠ শুনে প্রিয়ন্তি ঘর থেকে বেরিয়ে এল, “ও আপনারা এসে গেছেন! বাসা চিনতে কোনো কষ্ট হয়নি তো?”
১০. বন্ধনী (), { }, []
অতিরিক্ত তথ্য উপস্থাপন ও কালনির্দেশের ক্ষেত্রে বন্ধনীর ব্যবহার হয়। বন্ধনী তিন প্রকার: প্রথম বন্ধনী ( ), দ্বিতীয় বন্ধনী { } ও তৃতীয় বন্ধনী [ ] । যেমন –
তিনি বাংলা ভাষার বিবর্তন (চর্যাপদের সময় থেকে পরবর্তী) নিয়ে আলোচনা করবেন। কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬) ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে পরিচিত।
১১. বিন্দু (.)
শব্দসংক্ষেপ, ক্রমনির্দেশ ইত্যাদি কাজে বিন্দু ব্যবহৃত হয়। যেমন – ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
ভাষার প্রধান উপাদান চারটি: ১. ধ্বনি, ২. শব্দ, ৩. বাক্য ও ৪. বাগর্থ।
১২. ত্রিবিন্দু (… )
কোনো অংশ বাদ দিতে চাইলে ত্রিবিন্দুর ব্যবহার হয়।
যেমন- তিনি রেগে গিয়ে বললেন, “তার মানে তুমি একটা … ।”
আমাদের ঐক্য বাইরের।… এ ঐক্য জড় অকর্মক, সজীব সকর্মক নয়।
১৩. বিকল্পচিহ্ন (/)
একটির বদলে অন্যটির সম্ভাবনা বোঝাতে বিকল্পচিহ্নের ব্যবহার হয়। যেমন-
শুদ্ধ/অশুদ্ধ চিহ্নিত করো ।
যতিচিহ্ন কাকে বলে ,যতিচিহ্ন বা বিরাম চিহ্ন কয়টি ; মোট কথা বিরামচিহ্ন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন উইকিপিডিয়া থেকেও । ধন্যবাদ ।