রং কত প্রকার । মৌলিক রং কাকে বলে । মৌলিক রং কয়টি । কী কী
রং কত প্রকার । মৌলিক রং কাকে বলে । মৌলিক রং কয়টি । কী কী : বিশ্ব প্রকৃতি রং-এর মেলা। দৃশ্যমান জগতে আমরা যা কিছুই দেখতে পাই তা কোন না কোন রং দ্বারা আবৃত। আমরা যে দিকে দৃষ্টি দেই সর্বত্রই বিচিত্র রং-এর বিপুল সমারোহ। উজ্জ্বল রং ও বর্ণময় প্রাকৃতিক পরিবেশ মানবমনে অপার আনন্দ দেয়। সেহেতু রং এর প্রাথমিক ধারণা, শ্রেণি বিভাগ ও সঠিক ব্যবহার জানা একজন সচেতন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।
রং কত প্রকার । মৌলিক রং কাকে বলে । মৌলিক রং কয়টি । কী কী
রং কত প্রকার
সূর্যের আলো কোন ত্রিকোণাকার কাঁচের (প্রিজম) মধ্য দিয়ে প্রতিসরিত হলে আমরা সাতটি রং দেখতে পাই। রং সাতটি হলো- বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল। সংক্ষেপে এ রংগুলোকে বেনীআসহকলা বলা হয়। তরঙ্গের তারতম্যের উপর ভিত্তি করে রংকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১। প্রথম স্তরের রং বা মৌলিক রং (primary colors)
২। দ্বিতীয় স্তরের রং বা মাধ্যমিক রং (secondary color)
৩। তৃতীয় স্তরের রং বা মিশ্র রং (Tertiary color)
মৌলিক রং কাকে বলে
প্রথম স্তরের রং বা মৌলিক রং (primary color): যে রং অন্য কোন দুই বা অধিক রং এর মিশ্রণে তৈরী হয় না তাকে মৌলিক রং (primary color) বলা হয় ।
মৌলিক রং কয়টি
মৌলিক রং (primary color) তিন প্রকার, যথা – লাল, হলুদ, নীল
দ্বিতীয় স্তরের রং বা মাধ্যমিক রং (secondary color): মৌলিক যে কোন দুইটি রংয়ের মিশ্রণে যে রং তৈরী হয়
তাকে দ্বিতীয় স্তরের রং বা মাধ্যমিক রং (secondary color) বলা হয় ।
মাধ্যমিক রং (secondary color) তিন প্রকার, যথা- বেগুনী, সবুজ, কমলা
তৃতীয় স্তরের রং বা মিশ্র রং (Tertiary color )
একটি প্রথম স্তরের রং বা মৌলিক রং (primary color) এবং একটি দ্বিতীয় স্তরের রংবা মাধ্যমিক রং (secondary color) এর সংমিশ্রণে যে রং তৈরি হয় তাকে তৃতীয় স্তরের রং বা মিশ্র রং (tertiary color) বলা হয়। যেমন- হলুদ+ কমলা = খাঁটি সোনার রং বা কনক, লাল+ কমলা= ইট রং, লাল+বেগুনী=আলতা রং, নীল+বেগুনী=ধুসর রং, নীল+ সবুজ মরকত রং, হলুদ+ সবুজ = জরদ রং।
প্রথম স্তরের রং বা মৌলিক রং (primary color) এবং দ্বিতীয় স্তরের রং বা মাধ্যমিক রং (secondary color) ছাড়া বাকী সব রং তৃতীয় স্তরের রং বা মিশ্র রং (tertiary color) বলা যায় ।
মহাসাগর কয়টি ও কি কি ? মহাসাগরের সকল তথ্য
রং এর বৈশিষ্ট্য বা গুণ
• প্রত্যেকটি রং এর মধ্যে তিনটি বৈশিষ্ট্য বা গুণ বিদ্যমান। যথা- বর্ণ (Hue), গাঢ়তা ও লঘুতা (Value), বর্ণের উজ্জ্বলতা ও অনুজ্জ্বলতা (Intensity) |
• বর্ণ: বর্ণের অর্থ হচ্ছে বিশেষ কোন রং এর সমাবেশ, যেমন- লাল, নীল ও হলুদ। রং এর এই গুণের ফলে এক জিনিস থেকে অন্য জিনিসকে বা একটি রংকে অন্যান্য রং থেকে পৃথক করে দেখা সম্ভব।
রং এর গাঢ়তা ও লঘুতা: ছবি আঁকার সময় কোন কোন সময় রং এর গাঢ়তা অথবা লঘুতা দেখানোর প্রয়োজন হয় এবং সে অনুযায়ী গাঢ় কিংবা হালকা রং এর ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।
• রং এর উজ্জ্বলতা এবং অনুজ্জ্বলতা: প্রয়োজন অনুযায়ী কোন কোন সময় রং এর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি এবং কমানো
সম্ভব।
প্রাকৃতিক উপায়ে রং তৈরি
শ্যামল শোভায় সুশোভিত এ বাংলাদেশের সব জায়গাতেই বিভিন্ন গাছপালা, লতাপাতা, ফল-ফুল ইত্যাদিতে পরিপূর্ণ । এসব গাছ-পালা, লতা-পাতা, ফুল-ফলসহ বিভিন্ন জিনিস থেকে আমরা সহজেই নানা প্রকার রং পেতে পারি যা তৈরি এবং ব্যবহারে কোমলমতি শিশুরা উৎসাহী হয়। যেমন –
বেগুনি রং-পাকা পুঁই শাকের ফল ও ছিটকীর ফল
সবুজ রং- সীম পাতার রস ও গাঁদা ফুলের পাতার রস
হলুদ রং-কাঁচা হলুদ অথবা শুকনো হলুদের রস
কমলা রং-মেহেদি পাতার রস অথবা শিউলী ফুল
কালো রং – কাঠ কয়লা বা রান্নার পাতিলের তলা থেকে, তেলের বাতি থেকে
খয়েরি রং –ডেউয়া গাছের ছাল, কাঁচা গাব ও কচু গাছের রস থেকে এবং খয়ের থেকে।
রং কত প্রকার । মৌলিক রং কাকে বলে । মৌলিক রং কয়টি । কী কী – সংক্রান্ত পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসলেই আমাদের শ্রম স্বার্থক হবে। রং এর ধরন সম্পর্কে উইকিপিডিয়া থেকেও পড়তে পারেন। পোস্ট সম্পর্কে আপনাদের মূল্যবান মতামত কমেন্টবক্সে জানাবেন। ধন্যবাদ।